Onlyfan Premium Videos

যে জীবন মেঘেদের


                        যে জীবন মেঘেদের

..................আরভান শান আরাফ............ 


আমি একটা উপন্যাস লিখব৷ সেটা বড় কথা নয় যে আমি উপন্যাস লিখব, আসল কথা হচ্ছে উপন্যাসের নাম কি দিব৷ এ ব্যাপারে সুমা আপা বলেছে আমাকে সাহায্য করবে৷ কিছুদিন আগে সুমা আপার একটা বই বের হয়েছে৷ বইয়ের নাম "চোখের পাথর"। নামটা খুব সুন্দর, তাই না? আমার ও এমন একটা নাম দরকার। চোখের পাথর টাইপ। সেটা ভিন্ন কথা যে সুমা আপার বইটা কেউ তেমন কিনেনি৷ দশ কপি ছাপিয়ে সবাইকে উপহার দিয়েছে।কেউ পড়েছে বলে আমার মনে হয় না৷ সুমা আপার প্রেমিক মুতিন কাকা প্রেসের মালিক৷ আমাকে বলেছে উপন্যাস লেখা হলে ই আমাকে ও ছাপিয়ে দিবে৷ আমি ক্লাসের অবসর সময়ে পেছনের বেঞ্চে বসে বসে ভাবি৷ উপন্যাসের কাহিনী৷। মুতিন কাকা বলেছে, গল্পে সেক্সেয়্যাল পার্ট থাকলে লোকে পড়ে বেশি৷ সেক্সুয়্যাল পার্ট বুঝার জন্য ওনি, ওনার প্রেস থেকে আমাকে একটা বই ও পড়তে দিয়েছে৷ বইয়ের নাম 'নিশি রাতে ভাবীর হাতছানি'

আমি বইটি এখনো পড়িনি। তবে পড়ব। মনে হয় খুব রোমাঞ্চকর গল্প হবে৷

ও হ্যা, আমার নাম নিলয় আহমেদ। আমি ক্লাস টেনে পড়ি।আমাদের এলাকার নাম শশই। এটা একটা মফস্বল শহর৷ ছোট্ট একটা শহর  লোক সংখ্যা ও কম তবে প্রয়োজনীয় সব কিছু আছে৷ আমি যে স্কুলে পড়ি তার নাম শশই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়৷ আমাদের যিনি জীব বিজ্ঞান পড়ান ওনার নাম সমীর৷ আমরা ওনাকে জীব স্যার বলে ডাকি।জীব স্যারের মাথায় একটা চুল৷ ওনি যখন ক্লাসে মাথা ঝুলিয়ে পড়ান তখন আমি ওনার চুলের দিকে তাকিয়ে থাকি৷ ফ্যানের বাতাসে যখন চুলটা নড়ে তখন দেখতে খুব সুন্দর লাগে।


বিকেল হলে ই আমার মন কেমন করে উঠে।পড়ার টেবিলে মন বসে না৷ ঘুমাতে ও ইচ্ছে করে না। অথচ আম্মু এমন সময় বই দিয়ে বসিয়ে রাখে৷ সামনে টেস্ট পরিক্ষা। অথচ আমি কিছু পারি না৷ প্রি টেস্টে তিন সাবজেক্টে গোল্লা দিয়ে বাসায় এসে ইচ্ছেমত বাবার বকা খেয়ে ঘুমাতে হয়েছিল৷ টেস্টে যদি ফেইল করি তবে আমাকে আস্ত রাখবে না। 

রাত হতে না হতে ই ঘুমে আমি হেলে পড়ি৷ সকালে ভাঙ্গে না ঘুম। এমন কঠিন সময়ে উপন্যাস নিয়ে ভাবার সুযোগ পাচ্ছি না৷ অথচ সুমা আপুর প্রেমিক দেখা হলে ই জিজ্ঞেস করে

-কি ও লেখক, উপন্যাস আর কতটুকু? একদিন রাতে এসো দশটার পরে৷ হেডিং টা ধরিয়ে দিব।।আমার ও খুব ইচ্ছে হেডিং ধরতে তার প্রেসে যাওয়া । কথা হচ্ছে দশটার পরে আমি আধো ঘুমে মরা থাকি৷ বেচারা রোজ ই হয়ত অপেক্ষা করে হেডিং ধরাতে। 


সেবার শশই গ্রামে বিশাল মেলা হল।লোকে লোকারণ্য৷ ব্রক্ষপুত্রের তীরে প্রাচীন কিছু বটগাছ আছে৷ সেই গাছের নিচে বজ্রপাত হয়ে জুরু ফকির মারা গিয়েছিল অনেক আগে। কেউ লাশটা ছোঁয়ে ও দেখেনি।বাইশ দিনে ও যখন লাশ পঁচেনি তখন সবাই তাকে অতি উচ্চমানে পীর মেনে মাজার করে দিল৷ সেই মাজারে বছরান্তর মেলা হয়। সেবার যখন মেলা হয়েছিল তখন জারি গানের আসরে মাথা দুলিয়ে গাজী কালুর গান গায়তে গায়তে আসর জমিয়ে ফেলেছিল। সেদিন সেই আসরে উত্তর পাড়ার মুহিব ভাইকে দেখেছিলাম গামছা মাথায় বেঁধে উন্মাদের মত নাচতে। আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম মুহিব ভাইকে। কি সুন্দর মানুষটা। কি চমৎকার মৃদাঙ্গ বাজায়৷ তারপর থেকে আমার পড়াশোনার মন উঠে গিয়েছে৷ সারাক্ষণ ই তাকে দেখতে ইচ্ছে করে। মনে কেমন অদ্ভুত খেয়াল। মনে হচ্ছে আমি দিন দিন মেয়ে হয়ে যাচ্ছি। 

ছি! এমন লজ্জার কথা আমি কাকে বলব?ইফতিকে দেখি সারাদিন কত ছেলের সাথে কথা বলে। ছেলে দেখলে ই রঙ ঢং করে। ইদানীং আমার ও ইচ্ছে করে। অথচ ভাবতেই শরীর কেমন করে উঠে। ঘেন্নায় থু ফেলতে ইচ্ছে হয়। 

রাত হলে মন কেমন জানি করে। কী সব করতে মন চাই। আমি বিছানার এপাশ ওপাশ করে অনেক রাতে ঘুমাতে যায়৷ রোজ স্কুলে লেট হচ্ছে৷ রোজ জীব স্যার বারান্দায় দাঁড় করিয়ে রাখে৷ আমার এই ষোল সতেরো বছর বয়সের বিড়ম্বনায় ইফতি আর তন্ময়কে ও বারান্দায় দাঁড়াতে হয়৷ আমার জন্য তাদের ও রোজ বিলম্ব হচ্ছে৷ 

ঐদিন বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অন্যদের সাথে যখন হাসি তামাশায় মত্ত তখন স্কুলের মাঠে মুহিব ভাইকে দেখলাম গরু নিয়ে ক্ষেতে যাচ্ছে৷ তার কাধে কোদাল আর মাথায় গামছা। অন্য হাতে বাঁশের কাঞ্চি৷ আমাকে দেখে মুচকি হেসে বলল

-নীলু,বিকালে খেলার মাঠে যায়ছ। খেলা আছে।

আমাকে অনেকেই আদর করে নিলূ ডাকে। খেলার মাঠে মুহিব ভাই ও। মুহিব ভাই মামার বাড়ি থেকে পড়াশোনা করেন৷ শহরের কলেজে অনার্সে পড়ে। মানুষটাকে আমার প্রচন্ড ভাল লাগে৷ ওনার কন্ঠস্বর শুনলে আমার বুক জানি কেমন করে উঠে৷ এই যে আজ ওনি নাম ধরে ডাকলেন, এতে আমার বুকের ধুকধুক কয়েক গুণ বেড়ে গেল। আমার পাশে দাঁড়ানো সুমন হয়ত সেই ধুকপুক শুনে ই ফেলেছে৷ ভয়ে আমি এক হাত আমার বুকে চেপে ধরলাম পাছে কেউ শুনে ফেলে। 


রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল অদ্ভুত এক স্বপ্নে। স্বপ্নে দেখলাম মুহিব ভাই আমার নাভীতে চুমু খেতে খেতে আমার বুকের দিকে আসছে৷ আর এতেই আমার প্যান্ট ভিজে গেল।আঠালো,থকথকে, সাদা, দুর্গন্ধ যুক্ত পদার্থ আমার প্যান্টে লেগে ভিজে আছে৷ সারা শরীর কেমন করে উঠল। মনে হল কাউকে বলি কিন্তু পরক্ষণে ই মনে হল স্বপ্নে যা দেখেছি তা বলার মত না। 

পরের দিন সকালে নিজেকে কেমন যেন এলোমেলো লাগছিল। সকালে স্কুলে আসার সময় সদ্য গজানো ছোট ছোট দাঁড়ি গোফ কেটে এসেছি। কাটার পর আয়নায় দেখলাম মুখটা কেমন ফ্যাকাসে, রক্তশূণ্যতায় ভোগা রোগী মনে হচ্ছে। ক্লাসের বন্ধুরা টিটকারি করতে লাগলো৷তাদের প্রলাপ থেকে বাঁচতে ক্লাস না করে ই ব্যাগ নিয়ে স্কুল থেকে বের হয়ে গেলাম।

স্কুলের পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে জলপায়ের আচার খেতে খেতে যখন চারপাশের মানুষজনকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছিলাম তখন খেয়াল হল মুহিব ভাই দূর থেকে আমাকে তাকিয়ে দেখছে।ওনার চোখে চোখ পড়তেই রাতের স্বপ্নের কথা মনে পড়ে গেল। লজ্জায় কেমন যেন করতে লাগল মন। 


সেদিন রাত নয়টার দিকে ছাদে গিয়েছিলাম হাওয়া খেতে। আমাদের বাসার ছাদ থেকে পুকুরের ঘাট দেখা যায়। আমি যখন ছাদের রিলিং ধরে দাঁড়িয়ে পুকুরের ঘাটের দিকে তাকালাম তখন মনে হল সেখানে কেউ আছে।আমি ছাদের এক কোণায় গাছের আড়ালে গিয়ে দাঁড়ালাম। পাশের বাসার বাতির আলোতে শরীর দেখা গেলে ও চে্হারা স্পষ্ট নয়। তবে দুজন ছিল। একটা মেয়ে আর ছেলে। ছেলেটার হাত মেয়েটার বুকে৷ সে কথার ফাঁকে ফাঁকে মেয়েটার স্তন টিপাটিপি করছে৷ ভরাট স্তন।আর মেয়েটা মাথা ঘুরিয়ে চার দিক বার বার তাকিয়ে দেখছে৷ হঠাৎ ছেলেটা মেয়েটার হাত নিয়ে তার লুঙ্গির উপর রাখল। মেয়েটা লুঙ্গিটা একটু সরিয়ে কিছু একটা ধরে খিলখিল করে হেসে উঠল। হাসির শব্দ কানে আসেনি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল মেয়েটা সুমা আপু।পর্যাপ্ত আলোর অভাব থাকলে ও এটা বুঝা যাচ্ছিল যে সুমা আপু লম্বা,মোটা আর কালো কুচকুচে লিঙ্গ ধরে রেখেছে৷। আমার সারা শরীর কেমন করে উঠল। আমার ও ইচ্ছে হচ্ছিল ঐটা ধরতে। 


সারারাত্রি স্বপ্নে আবোল তাবোল দেখলাম। সকালে আম্মু  টেনে হেচড়ে ঘুম থেকে উঠালো। তখন আমার গায়ে জ্বর। আম্মু গায়ে হাত দিয়ে বলল, তর তো দেখি জ্বর৷ আচ্ছা,শুয়ে থাক। 

আমি সেদিন সারাদিন শুয়ে ছিলাম। চোখ বন্ধ করলেই ঐ কালো জিনিসটা চোখে ভাসে।জ্বর বাড়ছিল। সুবল ডাক্তার বাড়ি এসে মাথায় হাত দিতেই শরীর কেমন করে উঠল । লজ্জায় মরে যেতে মন চাচ্ছিল।। কী হচ্ছে আমার সাথে? আমি কি মেয়ে হয়ে যাচ্ছি? অথচ আমার শরীর, কথা বার্তা আচারণ সব ছেলেদের মত।আমাকে দ্রুত কারো সাথে কথা বলতে হবে। ইফতিকে বলব? না থাক৷

সেদিন সারাটা সময় গিয়েছিল অস্থিরতায়। নিজেকে ভেঙ্গে চুড়ে গড়ার মত মৃদ যন্ত্রনা হচ্ছিল। ইচ্ছে করছিল চিৎকার করে সবাইকে বলি। সমাধান খোঁজি পথে ঘুরে ঘুরে। কি হচ্ছে আমার? 


টানা তিন দিন জ্বর থেকে সেরে উঠার পর শরীর দুর্বল ছিল। বিকেলের দিকে বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় নামতেই মুহিব ভাই পিছন থেকে হাত টেনে ধরে বলল 

-কিরে নীলু,শরীরের কী অবস্থা তর? 

আমি মুচকি হেসে তাকিয়ে রইলাম। 

এই যে মানুষটা আমাকে স্পর্শ করল, আমার আমার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করল, এতেই আমার মন ভরে গেল৷ আবেগী হয়ে গেলাম আমি। হৃদয়ে তার জন্য কেমন অনুভূতি।

আমি আর মুহিব ভাই হেঁটে হেঁটে সেগুন বাগানের দিকে বাঁধায় করা বেঞ্চিতে বসলাম৷ শান্ত নিরব পরিবেশ। চমৎকার বাতাস আর পাখির কিচিরমিচির। মুহিব ভাই চুপ৷ আমি ও চুপ। আমার সারা শরীরে ব্যথা৷ মনে হচ্ছিল জ্বরটা আবার আসবে৷ মুহিব ভাই আমার হাতটা ধরল। সেটা অন্য সময়ের মত নয়। এই স্পর্শে অন্য কিছু একটা ছিল। সেটা উপলব্ধি করার আগেই মুহিব ভাই আমার গলায় তার ঠোট স্পর্শ করল। আমি আৎকে উঠে তার দিকে তাকালাম৷ সে লাজুক চোখে তাকিয়ে ছিল। আমি লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেললাম। সে আমার ঠোটে চুমু খেল৷ হলিউডের নায়িকদের মত চুমু খাচ্ছিল সে। আমি দু হাত দিয়ে তাকে ঝাপটে ধরলাম। এভাবে কতক্ষণ জানি না। তারপর লজ্জায় তাকে ছেড়ে দিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে বসলাম। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর দুজন বাড়ির পথে পা বাড়ালাম।। হেঁটে আসার সময় দুজনে ই ছিলাম চুপচাপ।কেউ তাকাচ্ছিলাম না কারো দিকে। 

এই ঘটনার পর নিজের মধ্যে অদ্ভুত পরিবর্তন খেয়াল করছিলাম। সারাক্ষণ ই সেই চুম্মনের কথা মনে হত।মনে হত মুহিব ভাই পাশে থাকলে ভাল লাগত। সে আমায় আদর করলে সুখ পেতাম। কিন্তু সেই সুখ অধরা ই। তার খোঁজ নেই অনেক দিন। তারপর একদিন মুতিন কাকার প্রেসে গেলাম। রাত তখন নয়টার অধিক। এত রাতে আমাকে সে তার প্রেসে দেখে হাতে আকাশের চাঁদ পাওয়ার মত খুশি হয়ে টেনে তার পাশে নিয়ে বসালো।আমি মুচকি হেসে ওনার দিকে তাকিয়ে বললাম

-কাকু,উপন্যাস কীভাবে শুরু করব? 

মুতিন কাকা তার একটা হাত আমার উরুতে রেখে ঘষতে ঘষতে বলল

-শাটারটা টেনে দিব? 

আমি মাথা নেড়ে হ্যা সম্মতি দিলাম। সে শাটারটা টেনে এসে আমার শর্টসের জিপারে হাত দিল। আমি শিউরে উঠলাম।সে আমার একটা হাত নিয়ে তার বুকের স্তনের উপর রাখলো। আমি কি করব বুঝতে না পেরে তার শার্টের বোতাম খোলে তার লোমশ স্তন বোটা কামড়ে ধরলাম। সে আমার উথিত কামলিঙ্গে তার মুখে নেওয়ার সাথে সাথে সারা শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেল। 

সেই রাতে বন্ধ শাটারের ওপারে নিজের চেয়ে বয়সে দ্বিগুণ একজন পুরুষের শরীরে নিজের শরীর ঢুকিয়ে অদ্ভুত সুখ লাভ করেছিলাম। উপন্যাস লেখা হয়নি কিন্তু মুতিন কাকার হাত ধরে যে যৌনতার চর্চা হয়েছিল তা আমাকে ভুগিয়েছিল অনেক দিন। তার হাত থেকে নিজেকে অনেক কষ্টে ছাড়িয়ে এনেছিলাম।

মাস দেড়েক পড়ে বাজে এক অসুখ বেঁধে গেল। ডক্টরের ভাষায় গনোরিয়া। আব্বু কিছু বুঝতে না পারলে আমি বুঝে ছিলাম। 

মুহিব ভাইয়ের সাথে তেমন কথা হত না, মুতিন কাকার থেকে ও দূরে সরে যাচ্ছিলাম। জীবনের অশুদ্ধ যৌন চর্চায় নিজেকে জঘন্য মনে হচ্ছিল।

এস এস সি পরিক্ষা সামনে৷ সারাদিন বই নিয়ে বসে থাকি৷ অতীতের ছেলে মানুষি ভুলে গিয়ে নিজেকে নতুন করে গড়তে শুরু করেছি৷মা বাবা আমাকে দেখে অবাক। এর আগে পড়াশোনায় এত মনোযোগী হয়নি৷বন্ধুদের সাথে ও দেখা করি না। নিজের মত থাকি। সেই সময় আমাদের বাসায় বেড়াতে এলো ফুফাতো ভাই আর তার স্ত্রী। সারাদিন তাদের সাথে আড্ডা দেয়, গল্প করি। সন্ধ্যার পর ভাবীর সাথে ছাদে গিয়ে গল্প করি। 

একদিন সন্ধ্যার পর, ভাইয়া কোন একটা কাজে বাহিরে গিয়েছিল। আমি আর ভাবী ছাদে বসে কথা বলছিলাম। কথার এক ফাঁকে খেয়াল করছিলাম ভাবী তার এক হাত আমার প্যান্টের উপর জিপারে নিয়ে রেখে আমার পুরুষাঙ্গ চেপে ধরলো। আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি।

বিলিয়ে দিয়েছিলাম ভাবীর কাছে৷ তারপর যতদিন ভাবী এখানে ছিল ততদিন কোন না কোন ফাঁকে আমরা মিলিত হয়েছি। 

মেয়েদের প্রতি নেশা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাথায় সারাক্ষণ মুহিব ভাইয়ের চেহারাটা ই ভাসতো।  অথচ মুহিব ভাইয়ের কোন খবর ছিল না আমার কাছে। 


এস এস সি পরিক্ষার পর, আমি তখন খুব ভাল রেজাল্ট নিয়ে শহরের কলেজে ভর্তি হলাম। রুমানার সাথে সিরিয়াস প্রেম।এরি মধ্যে একদিন কলেজে মুহিব ভাইয়ের সাথে দেখা।সে আমাকে দেখে ও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাচ্ছিল। আমি দৌড়ে তার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। সে মেকি একটা হাসি দিয়ে বলল

-কী অবস্থা নিলয়? 

-আমি ত ভাল৷ আপনি কোথায় ছিলেন এক দেড় বছর ধরে? 

-এইতো,চাকুরি খোঁজছিলাম। 

-পেয়েছেন চাকরি? 

-হ্যা,এই কলেজে ই পড়াচ্ছি। 

আমি বিস্মিত হলাম। আমাকে অবাক করে দিয়ে সে চলে গেল। তার হেঁটে যাওয়া আমাকে আবারো বিমোহিত করলো।


আমার দিন কাটে না,রাত কাটে না। আমি আবার তার প্রতি আকর্ষিত হয়ে ভুল পথে পা বাড়ানোর ভয়ে আছি।নিজের সবটা দিয়ে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছি৷কলেজে যায়, তাকে ক্যাম্পাসে দেখি কিন্তু সে আমার দিকে ফিরে ও তাকায় না। রাগ হত নিজের প্রতি। 

জীবনের প্রথম চুম্মন ভুলার ছিল না। আমি তাকে পেতে চাইতাম। 

একদিন ই বন্ধুদের আড্ডার মধ্যে কেউ একজন বলে উঠল

-মুহিব স্যারের বিয়ে কাল। 

আমি ধাক্কা খেলাম৷ 

নিজেকে নিয়ন্ত্রণে এনে তার বাসার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সারা বাড়ি আলোতে সাজানো। গ্রাম ছেড়ে সে শহরে উঠে এসেছে৷ এখন আর গরু নিয়ে মাঠে যাওয়া মুহিব নয় সে৷ একজন সে একজন শিক্ষক। একজন পুরুষ।আমি বাড়ির ভেতরে হেঁটে গেলাম। গায়ে হলুদের আসরে সে বসে আছে। মুখে চমৎকার হাসি। আমি কিছু বলিনি। সে আমাকে দেখেনি৷ দেখলে ও লাভ হতো না। সে আর যাই হোক,আমার না। কখনো ছিল ও না। 


রাস্তায় বের হয়ে এলাম। আকাশে বৃষ্টি নামছে৷আমি বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বাসায় যাচ্ছি। চোখের সামনে আমার ১৮ বছর বয়স ঝলঝল করছিল।আমি জানি না আমার জীবন আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে। কখনো কারো ভালবাসা পাব কিনা৷ নাকি যৌনতার স্রোতে ভেসে যাব পাপের নগরে। 

.....(সমাপ্ত)

যে জীবন মেঘেদের যে জীবন মেঘেদের Reviewed by সমপ্রেমের গল্প on May 06, 2021 Rating: 5

3 comments:

  1. আলাদা কিছু একটা আচ্ছন্ন করে রাখে। অসাধারণ

    ReplyDelete
  2. সুমা যদি আপা হয়,তাহলে সুমা আপার প্রেমিক মুতিন, কাকা কেমনে হবে!!!প্রথম দিকের প্লটে একটু মনোযোগ দিয়ে দেইখেন।আমার কাছে সুমা আপার প্রেমি মুতিন কাকা প্রেসের মালিক কথাটায় সম্পর্কের বন্ডিং টা ভুল মনে হয়সে!!?আর গল্পটাতে সুমা আপাকে সম্মান দেওয়া পাশাপাশি উনাকে নিয়ে এমন নোংরা হঠাৎ এক অপবাদ তুলে দেওয়া টা আশ্চর্য মনে হল।আর বাকি সব দিক দিয়ে গল্পটা মজাদার।খুবই ভাল লেগেছে

    ReplyDelete
    Replies
    1. সুমা আপা আপন কোন বোন সেটা গল্পে বলা হয়নি।
      মুতিন কাকা চরিত্রের কোন আপন কাকা নয়।
      দূর সম্পর্কে'র আপা,কাকার মধ্যে প্রেম টেম অতি সাধারণ বিষয়।

      Delete

Powered by Blogger.